লোক
পৃথিবী বিশ্বজগতের অংশ। পৃথিবী অর্থে সাধারণত ত্রিলোক বুঝায় - স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল। অন্য মত অনুসারে পাতাল ছাড়া ৭টি লোক আছে। যেমন ভূঃ, ভুবঃ, স্বঃ, মহঃ, জপ, তপ, সত্য। সাংখ্য ও বেদান্ত দর্শন মতে ৮টি লোক আছে। যথা - ব্রহ্মলোক, পিতৃলোক, সোমলোক, ইন্দ্রলোক, গন্ধর্বলোক, রাসলোক, যলোক, পিশাচলোক।
সুশ্রুতে লেখা আছে, লোক দুই প্রকার - স্থাবর ও জঙ্গম। বৃক্ষ, তৃণ, লতা হচ্ছে স্থাবর এবং পশু, পক্ষী, কীট, মানুষ প্রভৃতি হচ্ছে জঙ্গম। এই স্থাবর ও জঙ্গম লোকদ্বয় উষ্ণ ও শীত ভেদে আবার আগ্নেয় ও সৌম্য এই দুই ভাগে বিভক্ত। অথবা ক্ষিতি, জল, অগ্নি, বায়ু ও আকাশ এই পঞ্চভূত ভেদে বিভক্ত। এই দুই লোকের মধ্যে ভূতের উৎপত্তি চার প্রকার - স্বেদজ, অণ্ডজ, উদ্ভিজ্জ ও জরায়ুজ। একমাত্র পুরুষ এই সব লোকের অধিষ্ঠাতা।
প্রাচীন বৌদ্ধ বাংলা ও প্রাকৃত ভাষার লুক্কো, লোঅ হচ্ছে সংস্কৃত লোক শব্দের সমতুল শব্দ। লোক শব্দটির গঠন হচ্ছে সংস্কৃত লুক (দেখা) + অ।
মূলানুগ অর্থে লোক মানে মানুষের আদি জন্মভূমি। যেমন ভূলোক হচ্ছে ভূভারত বা আর্যাবর্ত, দক্ষিণাপথ ও পূর্বোদ্বীপসনাথ ভারত। ভূর্বলোক মানে অন্তরিক্ষ -- তুরস্ক, পারস্য ও অপোগস্তান। স্বর্লোক হচ্ছে ত্রিনাক -- তিব্বত, তাতার ও মঙ্গোলিয়া। আবার মহর্লোক, তপোলোক ও ব্রহ্মলোক হচ্ছে পুরো সাইবেরিয়া যা ত্রিদিব নামে পরিচিত ছিল। আর জনলোক হচ্ছে বর্তমান চীন।
অন্যদিকে পাতঞ্জল দর্শন মতে, পৃথিবী থেকে ঊর্ধ্বে ধ্রুব পর্যন্ত গ্রহ-নক্ষত্র-তারকা বিরাজিত অম্মাদাদির দৃষ্টিতে যে অবকাশময় স্থান দৃষ্ট হয়, তার নাম ভুবর্লোক। তার উপরে রয়েছে পাঁচ প্রকার স্বর্গলোক। প্রথমে মহেন্দ্রলোক, তার উপরে মহর্লোক। তার উপরে প্রজাপতিলোক বা ব্রহ্মলোক। আবার ব্রহ্মলোক তিনভাগে বিভক্ত - জনলোক, তপলোক ও সত্যলোক।
লোক মানে পৃথিবী। লোক মানে সমূহ, মানুষ, জন, ব্যক্তি (দুঃখী লোকে দয়া করে ভয়ালকে ভয় হরে - কবিকঙ্কন চণ্ডী)। ভৃত্য, মজুর, মুটে, কুলি অর্থেও লোক শব্দটি প্রচল (সঙ্গে লোক আছে? না থাকলে একজনকে ডাক)।
বর্ণ বা জাতি বোঝাতেও লোক শব্দটি ব্যবগৃত হয় (তারা কি লোক?) জন্ম অর্থেও শব্দটি চালু (পরলোক, মনুষ্যলোক)। লোকপ্রিয় অর্থে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লোককান্ত শব্দটি চালু করেছেন।
সুশ্রুতে লেখা আছে, লোক দুই প্রকার - স্থাবর ও জঙ্গম। বৃক্ষ, তৃণ, লতা হচ্ছে স্থাবর এবং পশু, পক্ষী, কীট, মানুষ প্রভৃতি হচ্ছে জঙ্গম। এই স্থাবর ও জঙ্গম লোকদ্বয় উষ্ণ ও শীত ভেদে আবার আগ্নেয় ও সৌম্য এই দুই ভাগে বিভক্ত। অথবা ক্ষিতি, জল, অগ্নি, বায়ু ও আকাশ এই পঞ্চভূত ভেদে বিভক্ত। এই দুই লোকের মধ্যে ভূতের উৎপত্তি চার প্রকার - স্বেদজ, অণ্ডজ, উদ্ভিজ্জ ও জরায়ুজ। একমাত্র পুরুষ এই সব লোকের অধিষ্ঠাতা।
প্রাচীন বৌদ্ধ বাংলা ও প্রাকৃত ভাষার লুক্কো, লোঅ হচ্ছে সংস্কৃত লোক শব্দের সমতুল শব্দ। লোক শব্দটির গঠন হচ্ছে সংস্কৃত লুক (দেখা) + অ।
মূলানুগ অর্থে লোক মানে মানুষের আদি জন্মভূমি। যেমন ভূলোক হচ্ছে ভূভারত বা আর্যাবর্ত, দক্ষিণাপথ ও পূর্বোদ্বীপসনাথ ভারত। ভূর্বলোক মানে অন্তরিক্ষ -- তুরস্ক, পারস্য ও অপোগস্তান। স্বর্লোক হচ্ছে ত্রিনাক -- তিব্বত, তাতার ও মঙ্গোলিয়া। আবার মহর্লোক, তপোলোক ও ব্রহ্মলোক হচ্ছে পুরো সাইবেরিয়া যা ত্রিদিব নামে পরিচিত ছিল। আর জনলোক হচ্ছে বর্তমান চীন।
অন্যদিকে পাতঞ্জল দর্শন মতে, পৃথিবী থেকে ঊর্ধ্বে ধ্রুব পর্যন্ত গ্রহ-নক্ষত্র-তারকা বিরাজিত অম্মাদাদির দৃষ্টিতে যে অবকাশময় স্থান দৃষ্ট হয়, তার নাম ভুবর্লোক। তার উপরে রয়েছে পাঁচ প্রকার স্বর্গলোক। প্রথমে মহেন্দ্রলোক, তার উপরে মহর্লোক। তার উপরে প্রজাপতিলোক বা ব্রহ্মলোক। আবার ব্রহ্মলোক তিনভাগে বিভক্ত - জনলোক, তপলোক ও সত্যলোক।
লোক মানে পৃথিবী। লোক মানে সমূহ, মানুষ, জন, ব্যক্তি (দুঃখী লোকে দয়া করে ভয়ালকে ভয় হরে - কবিকঙ্কন চণ্ডী)। ভৃত্য, মজুর, মুটে, কুলি অর্থেও লোক শব্দটি প্রচল (সঙ্গে লোক আছে? না থাকলে একজনকে ডাক)।
বর্ণ বা জাতি বোঝাতেও লোক শব্দটি ব্যবগৃত হয় (তারা কি লোক?) জন্ম অর্থেও শব্দটি চালু (পরলোক, মনুষ্যলোক)। লোকপ্রিয় অর্থে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লোককান্ত শব্দটি চালু করেছেন।
0 Comments:
Post a Comment
<< Home